তাইতো ছোট হোক বা বড় হাত রাঙাতে মেহেদি লাগবেই। এক সময় বিয়ে, ঈদ কিংবা অন্য কোনো উৎসব অনুষ্ঠানে মেহেদি গাছের পাতা বেটে মিহি করে হাতে লাগানো হতো। একটি বড় গোল বৃত্ত আর তার চারপাশে ছোট ছোট বৃত্ত করা ডিজাইনটাই যেন ছিল সাধারণ একটা বিষয়। কিন্তু সময় পাল্টেছে। আধুনিকতার এই যুগে মেহেদী লাগানোর মধ্যেও এসেছে দৃষ্টিনন্দন শৈল্পিকতার ছোঁয়া। ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকটি দিন। ইতিমধ্যে অনেকেই হয়তো পছন্দসই মেহেদি কিনেও নিয়েছেন। তবে মেহেদি দেয়ার আগে ও পরে কিছু টিপস মেনে চলুন-
ডিজাইনের ক্ষেত্রে যাঁদের হাতের পাতা বড়, তাঁরা হাতে ভরাট নকশা করলে ভালো দেখাবে। ছোট হাতের এক পাশে লম্বালম্বি ডিজাইন মানানসই। ফুল-পাতা ডিজাইনের সঙ্গে ময়ূর, কলকি, চরকা, পানপাতা দিয়ে আঁকা নকশা বেশ চলবে। যারা হালকা ডিজাইন পছন্দ করেন, তারা হাতভর্তি করে মেহেদি দিলে নকশা যেন সূক্ষ্ম হয় সেদিকে লক্ষ রাখা জরুরি। তালুর মাঝখানে স্পষ্ট গাঢ় নকশাও ছিমছাম দেখাবে। নখের চারপাশে ভরাট করে মেহেদি দেন অনেকে। সেক্ষেত্রে নখে হালকা রঙের নেলপালিশ দিলে ভালো দেখাবে।
যারা পুরো হাতে মেহেদি দিতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য কনুই পর্যন্ত হাতভর্তি করে মেহেদি দিতে হবে। নকশার কারুকাজও ভরাট হতে হবে। আর নকশা যেন সূক্ষ্ম হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। ট্যাটুসদৃশ মেহেদিও এই ঈদে অনেকেই পরতে পারে। বিশেষ করে ওয়েস্টার্ন ঈদ পোশাকের সঙ্গে এ ধরনের মেহেদি বেশি মানায়। এ ক্ষেত্রে বাহুতে, কাঁধে, পিঠের ওপরের দিকের অংশে মানিয়ে যাবে। আর নকশা হবে ছোট পান পাতা, চাঁদ তারা, কোনো আদ্যাক্ষর, কিংবা কোনো চিহ্নও হতে পারে।
মেহেদির বাজার:
মমতাজ, কাবেরি, অ্যাকটিভ গোল্ড, রাঙ্গাপরী, আলমাস, শাহজাদী, আইভি, স্মার্ট মেহেদিসহ বাজারে আরো বিভিন্ন ধরনের মেহেদি পাওয়া যায়, যা ব্যবহারের ঈদের আনন্দ বেড়ে যায় আরো বহু গুণ।
মমতাজ: মমতাজ মেহেদি অথবা মমতাজ ব্র্যান্ডের নতুন মেহেদি সুলতানা ন্যাচারাল। ৫৯ থেকে ৭০ টাকার মধ্যেই মমতাজ এবং সুলতানা মেহেদির নানা আকারের টিউব পাবেন। এর সঙ্গে আছে ডিজাইন বই, যার সাহায্যে পছন্দমতো নানা ধরনের নকশা বেছে নিতে পারবেন। তবে কেনার আগে আসল মমতাজ মেহেদি কি না, বুঝতে মেহেদির টিউবে অবশ্যই মুখ সিল করা এবং প্যাকেটের গায়ে জলছাপ দেখে নিন।
লিজান: লিজান মেহেদি পাবেন ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। ডিজাইন বইসহ নরমাল মেহেদি ও লিজান স্পেশাল চাঁদরাতে মেহেদি পাবেন ৪৫ টাকায়। টিউব মেহেদির সঙ্গে ছোট ছোট নকশার ডিজাইন বই যেমন আছে, তেমনি সঙ্গে আছে ভারী নকশার গর্জিয়াস মেহেদি বই।
রাঙ্গাপরী: রাঙ্গাপরী অ্যাকটিভ গোল্ড মেহেদি টিউব ৬০ টাকা। টিউবের সঙ্গে থাকছে ডিজাইন বই।
স্মার্ট মেহেদি: তাসমিয়ার স্মার্ট অ্যাকটিভ গোল্ড মেহেদি, স্মার্ট অ্যাকটিভ ব্লাক মেহেদি, স্মার্ট ও কোন মেহেদি পাবেন ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। সঙ্গে রয়েছে আকর্ষণ।
আলমাস মেহেদি: অনেক বেশি পরিচিত হলেও এটি পাকিস্তানি পণ্য। বড় ও ছোট প্যাকেটে পাওয়া যায়। বড় প্যাকেট ১২০ টাকা। ছোট প্যাকেট ৬০ টাকা।
কোথায় পাবেন: আপনার আশপাশে যেকোনো শপিং মলে, কসমেটিকসের দোকানে, মেগা শপে মেহেদির কালেকশন পাবেন। নিউমার্কেট, গাউছিয়া, বসুন্ধরা সিটি, আলমাস, আড়ং সবখানেই মেহেদি কিনতে পাবেন। তবে যেখান থেকেই কিনুন না কেন, তারিখ এবং মানের দিকে খেয়াল রেখে কিনুন।
১. মেহেদি লাগানোর পরে যখন মেহেদি একটু একটু করে শুকাতে শুরু করবে তখন একটি পাত্রে সামান্য লেবুর রস আর চিনি মিশিয়ে তুলার বল দিয়ে রস টা নিয়ে হাতে মিশ্রণটি লাগান। মেহেদির উপর ঘষা ঘষি করবেন না। আলতো করে শুকিয়ে যাওয়া মেহেদির একটু উপর থেকে তুলার বল চিপে ফোটা ফোটা করে লেবু আর চিনির মিশ্রণটি পুরো হাতে লাগাবেন। লেবুর রস মেহেদির রঙটা পুরোপুরি মেহেদির পেস্ট থেকে বের করতে সাহায্য করে আর চিনি সেই রঙ আর মেহেদি অনেক্ষণ হাতে আটকে রাখতে সাহায্য করে। নিচে মেহেদির উপর লেবু আর চিনির মিশ্রণ দেয়ার ফলে যেরকম রঙ হয় সেই ছবি দেয়া হলো –
২. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ২/৩ ঘণ্টা আগে লাগান, এবং সারা রাত হাতে মেহেদি রেখে দিন। মেহেদি শুকিয়ে গেলেও হাত ধুবেন না। আপনা আপনি কিছু পড়ে যাবে আর বাকি গুলো হাতে রেখেই ঘুমাতে পারেন অথবা হাত ঘষে মেহেদি ফেলে দিতে পারেন। অন্তত ৮ ঘণ্টা পানি থেকে হাত দূরে রাখুন। যত দেরীতে পানি লাগাবেন হাতে তত বেশি রঙ গাঢ় হবে।
৩. রঙ গাঢ় করার আরেকটি উপায় হলো চুলার কাছে দাঁড়িয়ে মেহেদি শুকানো অথবা হেয়ার ড্রায়ারের সাহায্যে মেহেদি শুকানো। শুকিয়ে গেলে মেহেদি ফেলে দিবেন না। লেবু আর চিনির মিশ্রণ দিয়ে যতক্ষণ পারেন রাখবেন।
৪. পুরো হাতে চিকন করে ডিজাইন না করে কিছু কিছু ডিজাইন ভরাট করে দেয়া উচিত। তাহলে মেহেদির রঙটা বেশি ফুটে উঠবে।
৫. মেহেদি তুলে ফেলার পর ভিক্স বাম লাগান এবং ৪/৫ ঘণ্টা হাতে রেখে দিন। এতে নিলগিরি তেল থাকে যা রঙ গাঢ় করবে।
৬. মেহেদি একটু শুকিয়ে আসা শুরু করলে জিরা ভেজানো পানিও দিতে পারেন। এতেও রঙ হবে।
৭. ব্যথা কমানোর বিভিন্ন বাম দিলেও বলা হয় যে মেহেদির রঙ গাঢ় হয়। ধারণা করা হয় যে ব্যথা কমানোর বাম ত্বকের নিচে তাপ তৈরির মাধ্যমে মেহেদির রঙ গাঢ় করে তুলে।
৮. চুলার উপর একটি শুকনো তাওয়ায় কয়েকটি লবঙ্গ রেখে দিন। মেহেদি তোলার পর হাত ২ টি গরম তাওয়া থেকে একটু দূরে রেখে হালকা ভাপ লাগান হাতে। এতে রঙ গাঢ় হবে।
৯. মেহেদি পাতা সরাসরি বেটে হাতে দিলে অনেকের হাতে কমলা রঙ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে নিচের যে কোনটি করা যাতে পারে –
• মেহেদি পাতা বাটার আগে মেহেদি পাতাগুলো সারা রাত গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে।
• চা পাতা জ্বাল দিয়ে সেটার মধ্যে সারা রাত মেহেদি পাতা বা মেহেদি গুঁড়ো রেখে দিন। পরের দিন বেটে হাতে লাগালে গাঢ় রঙ হবে।
• এক চা চামচ কফি পাউডার মিশিয়ে নিন মেহেদি গুঁড়োর সাথে। এতেও মেহেদির রঙ গাঢ় হবে।
ঈদ অথবা বিয়ের অনুষ্ঠান সব শেষ কিন্তু মেহেদির রঙ যাচ্ছেনা। এ অবস্থায় কি করবেন? সাধারণত যারা ধোয়া মোছার কাজ বেশি করেন, রান্নার কাজ করেন তাদের হাত থেকে খুব সহজেই মেহেদির রঙ উঠে যায়। কিন্তু যারা এসব কাজ করেন না, তারা অন্য ভাবে হাত থেকে রঙ তুলতে পারেন। যেমন –
১. যে কোন ব্লিচ ক্রিম হাতে লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। এরপর হাত ঘষে দেখুন মেহেদির রঙ অনেকটাই হালকা হয়ে গিয়েছে।
২. বেকিং সোডার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে হাতের লাগান, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
৩. দোকানের মেহেদি দিলে ঘন ঘন ২/১ দিন সাবান দিয়ে হাত ধুলেই চলে যাবে তবে সেক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে হাতে।
৪. টুথপেস্ট হাতে মেখে শুকিয়ে নিন। তারপর ২ হাত ঘষলে দেখবেন মেহেদির রঙ উঠে আসছে।
ডিজাইনের ক্ষেত্রে যাঁদের হাতের পাতা বড়, তাঁরা হাতে ভরাট নকশা করলে ভালো দেখাবে। ছোট হাতের এক পাশে লম্বালম্বি ডিজাইন মানানসই। ফুল-পাতা ডিজাইনের সঙ্গে ময়ূর, কলকি, চরকা, পানপাতা দিয়ে আঁকা নকশা বেশ চলবে। যারা হালকা ডিজাইন পছন্দ করেন, তারা হাতভর্তি করে মেহেদি দিলে নকশা যেন সূক্ষ্ম হয় সেদিকে লক্ষ রাখা জরুরি। তালুর মাঝখানে স্পষ্ট গাঢ় নকশাও ছিমছাম দেখাবে। নখের চারপাশে ভরাট করে মেহেদি দেন অনেকে। সেক্ষেত্রে নখে হালকা রঙের নেলপালিশ দিলে ভালো দেখাবে।
যারা পুরো হাতে মেহেদি দিতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য কনুই পর্যন্ত হাতভর্তি করে মেহেদি দিতে হবে। নকশার কারুকাজও ভরাট হতে হবে। আর নকশা যেন সূক্ষ্ম হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। ট্যাটুসদৃশ মেহেদিও এই ঈদে অনেকেই পরতে পারে। বিশেষ করে ওয়েস্টার্ন ঈদ পোশাকের সঙ্গে এ ধরনের মেহেদি বেশি মানায়। এ ক্ষেত্রে বাহুতে, কাঁধে, পিঠের ওপরের দিকের অংশে মানিয়ে যাবে। আর নকশা হবে ছোট পান পাতা, চাঁদ তারা, কোনো আদ্যাক্ষর, কিংবা কোনো চিহ্নও হতে পারে।
মেহেদির বাজার:
মমতাজ, কাবেরি, অ্যাকটিভ গোল্ড, রাঙ্গাপরী, আলমাস, শাহজাদী, আইভি, স্মার্ট মেহেদিসহ বাজারে আরো বিভিন্ন ধরনের মেহেদি পাওয়া যায়, যা ব্যবহারের ঈদের আনন্দ বেড়ে যায় আরো বহু গুণ।
মমতাজ: মমতাজ মেহেদি অথবা মমতাজ ব্র্যান্ডের নতুন মেহেদি সুলতানা ন্যাচারাল। ৫৯ থেকে ৭০ টাকার মধ্যেই মমতাজ এবং সুলতানা মেহেদির নানা আকারের টিউব পাবেন। এর সঙ্গে আছে ডিজাইন বই, যার সাহায্যে পছন্দমতো নানা ধরনের নকশা বেছে নিতে পারবেন। তবে কেনার আগে আসল মমতাজ মেহেদি কি না, বুঝতে মেহেদির টিউবে অবশ্যই মুখ সিল করা এবং প্যাকেটের গায়ে জলছাপ দেখে নিন।
লিজান: লিজান মেহেদি পাবেন ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। ডিজাইন বইসহ নরমাল মেহেদি ও লিজান স্পেশাল চাঁদরাতে মেহেদি পাবেন ৪৫ টাকায়। টিউব মেহেদির সঙ্গে ছোট ছোট নকশার ডিজাইন বই যেমন আছে, তেমনি সঙ্গে আছে ভারী নকশার গর্জিয়াস মেহেদি বই।
রাঙ্গাপরী: রাঙ্গাপরী অ্যাকটিভ গোল্ড মেহেদি টিউব ৬০ টাকা। টিউবের সঙ্গে থাকছে ডিজাইন বই।
স্মার্ট মেহেদি: তাসমিয়ার স্মার্ট অ্যাকটিভ গোল্ড মেহেদি, স্মার্ট অ্যাকটিভ ব্লাক মেহেদি, স্মার্ট ও কোন মেহেদি পাবেন ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। সঙ্গে রয়েছে আকর্ষণ।
আলমাস মেহেদি: অনেক বেশি পরিচিত হলেও এটি পাকিস্তানি পণ্য। বড় ও ছোট প্যাকেটে পাওয়া যায়। বড় প্যাকেট ১২০ টাকা। ছোট প্যাকেট ৬০ টাকা।
কোথায় পাবেন: আপনার আশপাশে যেকোনো শপিং মলে, কসমেটিকসের দোকানে, মেগা শপে মেহেদির কালেকশন পাবেন। নিউমার্কেট, গাউছিয়া, বসুন্ধরা সিটি, আলমাস, আড়ং সবখানেই মেহেদি কিনতে পাবেন। তবে যেখান থেকেই কিনুন না কেন, তারিখ এবং মানের দিকে খেয়াল রেখে কিনুন।
মেহেদির রঙ গাঢ় করার উপায়
১. মেহেদি লাগানোর পরে যখন মেহেদি একটু একটু করে শুকাতে শুরু করবে তখন একটি পাত্রে সামান্য লেবুর রস আর চিনি মিশিয়ে তুলার বল দিয়ে রস টা নিয়ে হাতে মিশ্রণটি লাগান। মেহেদির উপর ঘষা ঘষি করবেন না। আলতো করে শুকিয়ে যাওয়া মেহেদির একটু উপর থেকে তুলার বল চিপে ফোটা ফোটা করে লেবু আর চিনির মিশ্রণটি পুরো হাতে লাগাবেন। লেবুর রস মেহেদির রঙটা পুরোপুরি মেহেদির পেস্ট থেকে বের করতে সাহায্য করে আর চিনি সেই রঙ আর মেহেদি অনেক্ষণ হাতে আটকে রাখতে সাহায্য করে। নিচে মেহেদির উপর লেবু আর চিনির মিশ্রণ দেয়ার ফলে যেরকম রঙ হয় সেই ছবি দেয়া হলো –
২. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ২/৩ ঘণ্টা আগে লাগান, এবং সারা রাত হাতে মেহেদি রেখে দিন। মেহেদি শুকিয়ে গেলেও হাত ধুবেন না। আপনা আপনি কিছু পড়ে যাবে আর বাকি গুলো হাতে রেখেই ঘুমাতে পারেন অথবা হাত ঘষে মেহেদি ফেলে দিতে পারেন। অন্তত ৮ ঘণ্টা পানি থেকে হাত দূরে রাখুন। যত দেরীতে পানি লাগাবেন হাতে তত বেশি রঙ গাঢ় হবে।
৩. রঙ গাঢ় করার আরেকটি উপায় হলো চুলার কাছে দাঁড়িয়ে মেহেদি শুকানো অথবা হেয়ার ড্রায়ারের সাহায্যে মেহেদি শুকানো। শুকিয়ে গেলে মেহেদি ফেলে দিবেন না। লেবু আর চিনির মিশ্রণ দিয়ে যতক্ষণ পারেন রাখবেন।
৪. পুরো হাতে চিকন করে ডিজাইন না করে কিছু কিছু ডিজাইন ভরাট করে দেয়া উচিত। তাহলে মেহেদির রঙটা বেশি ফুটে উঠবে।
৫. মেহেদি তুলে ফেলার পর ভিক্স বাম লাগান এবং ৪/৫ ঘণ্টা হাতে রেখে দিন। এতে নিলগিরি তেল থাকে যা রঙ গাঢ় করবে।
৬. মেহেদি একটু শুকিয়ে আসা শুরু করলে জিরা ভেজানো পানিও দিতে পারেন। এতেও রঙ হবে।
৭. ব্যথা কমানোর বিভিন্ন বাম দিলেও বলা হয় যে মেহেদির রঙ গাঢ় হয়। ধারণা করা হয় যে ব্যথা কমানোর বাম ত্বকের নিচে তাপ তৈরির মাধ্যমে মেহেদির রঙ গাঢ় করে তুলে।
৮. চুলার উপর একটি শুকনো তাওয়ায় কয়েকটি লবঙ্গ রেখে দিন। মেহেদি তোলার পর হাত ২ টি গরম তাওয়া থেকে একটু দূরে রেখে হালকা ভাপ লাগান হাতে। এতে রঙ গাঢ় হবে।
৯. মেহেদি পাতা সরাসরি বেটে হাতে দিলে অনেকের হাতে কমলা রঙ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে নিচের যে কোনটি করা যাতে পারে –
• মেহেদি পাতা বাটার আগে মেহেদি পাতাগুলো সারা রাত গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে।
• চা পাতা জ্বাল দিয়ে সেটার মধ্যে সারা রাত মেহেদি পাতা বা মেহেদি গুঁড়ো রেখে দিন। পরের দিন বেটে হাতে লাগালে গাঢ় রঙ হবে।
• এক চা চামচ কফি পাউডার মিশিয়ে নিন মেহেদি গুঁড়োর সাথে। এতেও মেহেদির রঙ গাঢ় হবে।
ঈদ অথবা বিয়ের অনুষ্ঠান সব শেষ কিন্তু মেহেদির রঙ যাচ্ছেনা। এ অবস্থায় কি করবেন? সাধারণত যারা ধোয়া মোছার কাজ বেশি করেন, রান্নার কাজ করেন তাদের হাত থেকে খুব সহজেই মেহেদির রঙ উঠে যায়। কিন্তু যারা এসব কাজ করেন না, তারা অন্য ভাবে হাত থেকে রঙ তুলতে পারেন। যেমন –
১. যে কোন ব্লিচ ক্রিম হাতে লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। এরপর হাত ঘষে দেখুন মেহেদির রঙ অনেকটাই হালকা হয়ে গিয়েছে।
২. বেকিং সোডার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে হাতের লাগান, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
৩. দোকানের মেহেদি দিলে ঘন ঘন ২/১ দিন সাবান দিয়ে হাত ধুলেই চলে যাবে তবে সেক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে হাতে।
৪. টুথপেস্ট হাতে মেখে শুকিয়ে নিন। তারপর ২ হাত ঘষলে দেখবেন মেহেদির রঙ উঠে আসছে।
No comments:
Post a Comment